সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের আ.লীগের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ। ২০০৯ সালে আ.লীগ সরকার গঠন করলে তোফায়েল আহমেদ আলমাছের নেতৃত্বে মুড়াপাড়ায় ব্যাপক উন্নয়নমূল কাজ হয়েছে। আলমাছ ভূমিদস্যু মাদক জুয়ার বিরুদ্ধে রূখে দাড়িয়েছে। তিনি অর্জন করেছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। আলমাছের জনপ্রিয়তা মুগ্ধ হয়ে গত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আ.লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মুড়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক তুলে দেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করেন।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আলমাছ মুড়াপাড়ায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করছে। আলমাছের জনপ্রিয়তার কাছে হার মেনে হাইব্রিড আ.লীগের একটি অংশ ভূমিদস্যুদের নির্দেশে কিছু পত্রিকার মাধ্যমে মিথ্যাচার শুরু করে দিয়েছে।
আর এই মিথ্যাচারের কমান্ডার হিসেবে রয়েছে জনবিচ্ছিন্ন রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজাহান ভূইয়া, মুড়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জব্বার আলী, যিনি গত নির্বাচনে মুড়াপাড়া ইউনিয়নে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলো কিন্তু আ.লীগ তাকে মনোনয়ন দেয় নাই। এরা আ.লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আগামী নির্বাচনে যাতে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর ভরাডুবি হয় তার জন্য আলমাছ চেয়ারম্যানের জামিন ঠেকাতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে সংবাদ প্রকাশ করছে এবং আইনজীবি নিয়োগ করছে।
গত ২৭ শে মে ভারতের আইপিএল ক্রিকেট খেলার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। আইপিলের ফাইনাল ম্যাচে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে রুবেল নামে এক যুবক নিহত হয়। রুবেল হত্যায় মামলায় আলামছ চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করা হয়েছে যা মিথ্যা এবং বানোয়াট রাজনৈতিক হয়রানি ছাড়া অন্য কিছু নয়।
অনুসন্ধানে দেখা যায় আলমাছের ফোনের কললিস্ট বলছে, ঘটনার দিন ইফতার পার্টি ও নামাজ শেষে তিনি ঢাকায় তারাবির নামাযের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কললিস্ট অনুযায়ী রাত সাতটা পয়তাল্লিশ মিনিট পর্যন্ত আলমাছ ছিলেন রূপগঞ্জের কাঞ্চনে। যা ঘটনাস্থল মুড়াপাড়া থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে। আলমাছের ইফতার পার্টির অংশ নেয়ার সংবাদ বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ হয়। কললিস্ট, টিভি ফুটেজ ও পত্রিকাতে প্রকাশিত ছবিতে বিষয়টি স্পষ্ট রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে রুবেলের মৃত্যু হয়েছে মাথায় ও পেটে ছুড়িকাঘাতে। এজাহারে আরও উল্লেখ হয়েছে, মামলার এক নম্বর আসামী তোফায়েল আহমেদ আলমাছের হাতে থাকা পিস্তলের বাট দিয়ে নিহতের রুবেলের মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে গুরুত্বর জখম হয় রুবেল। কিন্তু রুবেলের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, রুবেলের মাথায় কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। পেটে ছুড়িকাঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে মামলার অন্যতম আসামী সুরুজ মিয়া বলেছেন আইপিএলে জুয়ায় জেতা দশ হাজার টাকা চাইতে গিয়ে মোমেন ও রুবেলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মোমেন তার বাড়িতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে তখন নয়নের হাতে থাকা চাকু দিয়ে ছরিকাঘাত করে রুবেলকে । জবানবন্দীতে সুরুজ আরও বলেন, নিহত রুবেল ও তার ভাই মামলার বাদী মোমেনের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়ার সাথে।
ভূমিদস্যু চক্রের কিছু পত্রিকায় ১০ জুলাই “ভারতে পালানোর ছক আলমাছের” শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের পক্ষ থেকে এ খবরের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের দাবি আলমাছ জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান তার এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মুড়াপাড়ায় তাকে খুব দরকার।
আলমাছ চেয়ারম্যানের বিদেশ যাওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই। তিনি আইনের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মুক্ত হয়েছে আসবেন এবং রুবেল হত্যার প্রকৃত আসামীদের শাস্তি হবে এটাই আলমাছের পরিবারের দাবি।